দুদকের প্রতিবেশী শিল্পকলা একাডেমির সংগীত নৃত্যকলা ও আবৃত্তি বিভাগে চলছে বিরামহীন দুর্ণিতি। কোন বাধাই এই দুর্নিতি চক্রকে থামাতে পারছে না। এই বিভাগের চুক্তিভিত্তিক পরিচালক মেহজাবীন নোভা, উপ পরিচালক শামীমা জাহান, ট্রেনিং বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর আনিস শুধুমাত্র দুর্নিতির জোটের কারনে সংগীত বিভাগে অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে আছেন, একাডেমির একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি এ তথ্য জানিয়েছেন। এই শামীমা জাহান এবং তার বর্তমান স্বামী অন্তু গোলন্দাজ ( গফর গায়ের কুখ্যাত খুনি গোলন্দাজ পরিবারের সদস্য) এই খুনি পরিবারের দাপটেই আওয়ামীলীগ তাকে চাকরি দিয়েছে। গত আওয়ামীলীগের আমলে এই শামীমা, আনিস, গোলন্দাজ ক্ষমতার জোড়ে নানাবিধ অনিয়ম, অর্থনৈতিক দুর্নিতি, অসামাজিক অপকর্মও করেছে লিয়াকত আলী লাকীর আমলে।
শামীমা জাহান বিদেশ ভ্রমন করতেন প্রায় প্রতি মাসেই। সরকারি জিও ছাড়াও তিনি বিদেশে গেছেন । শাল্পকলার সহযোগিতায় বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের বড় বড় অনুষ্ঠান করে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন স্বৈরাচার ডিজি লাকীর সাথে হাত মিলিয়ে। তিনি বিভিন্ন ইভেন্টের কাজ করতেন অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে। এই টাকার ভাগাভাগি নিয়েই ডিজি লাকীর সাথে তার ঝামেলা হয়, ডিজিকে না জানিয়েই শামীমা ইভেন্টের টাকা চুরি করে নিজের একাউন্টে ঢুকিয়ে নেয় এবং এই কারনে ডিজি সাহেব ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করান, যা এখনো চলমান। কিন্তু শামীমা সাথে যুক্ত আছেন আনিস এবং পরিচালক মেহজাবীন এরা এখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে চুরি, লুটপাট যা ইচ্ছেতাই স্বেচ্ছাচারিতা করে যাচ্ছে এখনো বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের, বড় বড় প্রতিষ্ঠানের, এম্বাসির অনুষ্ঠান করে থাকেন গোপনে নিজেদের ইচ্ছেমত আওয়ামী শিল্পীদের নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে শিল্পকলার সকল বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা যে কোন সময় কলম বিরতি বা সংগীত বিভাগের সাথে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিতে পারে।এমন কথা বেশকিছু সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য ৫ আগষ্টের পর সারাদেশের মানুষদের মতো আমরাও চেয়েছি আমাদের প্রতিষ্ঠানও দুর্নিতিমুক্ত পরিচ্ছন্ন হোক কিন্তু কতিপয় দুর্নিতিবাজদের কারনে আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের ভাবমূর্তি কলংকিত হবে আমরা এটা চাই না। গত ৭/৮ মাস আমরা বহু চেষ্টা করেছি প্রতিষ্টানের সুস্ঠ ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে কিন্তু আমাদের ভদ্রতা ওদের শুদ্ধ করতে পারেনি ।
এই গোলন্দাজ জোর গলায় বলে বেরায় আমাদের ভিতর থেকেই আওয়ামীলীগ ফিরে আসবে। আমরাই সেই পথ তৈরি করে রাখছি প্রতিমুহুর্তে। ৫ আগষ্টে এই গোলন্দাজ পরিবারের ভূমিকা ছিল ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে।
